নারায়ণগঞ্জে আবারও নৌকা পেলেন আইভী

সেলিনা হায়াৎ আইভী
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। আজ শুক্রবার দলের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এই মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে চারজন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁরা হলেন বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমানের সঙ্গে মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। ২০১১ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে এই দুজনই প্রার্থী হয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে বিএনপি প্রার্থী সরিয়ে নিলে সেলিনা হায়াৎ ও শামীম ওসমানের লড়াই ব্যাপক আলোচিত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বিপুল ভোটে শামীম ওসমানকে পরাজিত করেন সেলিনা হায়াৎ। সে সময় মেয়র পদে নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হতো না। তবে দল থেকে একজন প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হতো। সেবার আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের বড় অংশই শামীম ওসমানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

২০১৬ সালে পরের নির্বাচনে তৃণমূল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম চাওয়া হয়। সে সময় মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম জেলা থেকে প্রার্থী হিসেবে পাঠানো হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আইভীকে মনোনয়ন দেয়। আইভী ভোটে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনকে হারিয়ে আবার মেয়র হন।

এবার ২৯ নভেম্বর থেকে সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। তবে এবার আর তৃণমূল থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম চাওয়া হয়নি। দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সরাসরি বর্তমান মেয়র আইভীকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে এখনো শামীম ওসমানের প্রভাব বেশি। কিন্তু মেয়র পদে আইভীই দলের ভাবনায় ছিল। তৃণমূল থেকে নাম চাওয়া হলে এই নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে—এ কারণেই এবার নাম চাওয়া হয়নি।

আইভী ছাড়া বাকি যে তিনজন দলের ফরম সংগ্রহ করেছিলেন, তাঁদের সবাই শামীম ওসমানের অনুসারী বলে পরিচিত। তাঁদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা না করা হয়নি। দলীয় নেতারা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে দলের বিভিন্ন কমিটিতে শামীম ওসমানের প্রভাব বেশি। আইভি নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করছে। এ জন্যই দল আইভীকে নির্দ্বিধায় বেছে নিয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রিয়তার দিক থেকেও আইভী সবার চেয়ে এগিয়ে।