প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কারও তোয়াক্কা করে না ছাত্রলীগ!
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেছেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা এবং একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কে কোন বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে সংগঠনের কিছু যায়-আসে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে গতকাল শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নাজমুল। ছাত্রলীগের ‘ক্লিন ক্যাম্পাস অ্যান্ড সেইফ ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর অপর এক সংবাদ সম্মেলনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত সুমন দাসকে ‘ছাত্রলীগের কেউ নন’ দাবি করেন সংগঠনের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান। ওই সময় সাধারণ সম্পাদক দেশে ছিলেন না। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিহত সুমনকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে দাবি করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকেরা গতকাল জানতে চান, ছাত্রলীগ কি তাদের আগের অবস্থানেই আছে কি না বা শাহজালালের ওই ঘটনা ছাত্রলীগের ইমেজ সংকট সৃষ্টি করেছে কি না। জবাবে বদিউজ্জামান বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না। ছাত্রলীগ ইমেজ-সংকটে নেই। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সংঘর্ষের মতো ঘটনা নতুন কিছু নয়। বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে।’
পরে নাজমুল বলেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া কে কোন বক্তব্য দিয়েছেন, কে কোন লেখা লিখেছেন তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না।’ সুরঞ্জিতের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না, আমাদের কিঞ্চিত ক্ষতিও করতে পারবে না। এ নিয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথাও নেই।’
ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন কবে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউজ্জামান বলেন, জেলায় জেলায় সম্মেলন করে কমিটিগুলো দেওয়া হচ্ছে। এগুলো শেষ হলে যেকোনো সময় কেন্দ্রীয় সম্মেলন হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ‘আমাদের শিক্ষাঙ্গন আমরাই পরিচ্ছন্ন রাখব’ এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির ঘোষণা দেন সভাপতি। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১ ডিসেম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হবে। সপ্তাহব্যাপী সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি চলবে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে উল্লেখ করে বদিউজ্জামান বলেন, এই কর্মসূচির পাশাপাশি যারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস ও অপকর্ম করছে তাদেরও নির্মূল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।