
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ছয়জন সদস্য কাউন্সিলর হিসেবে অংশ নেবেন। অন্য সদস্যরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধুর নাতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ও জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। তাঁরা ২২ ও ২৩ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠেয় দলের জাতীয় সম্মেলনে নতুন কমিটির নেতা নির্বাচনে ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবেন।
গতকাল শনিবার ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সায়মা ওয়াজেদ ও তাঁর স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেনকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয় ও ববিকে আগেই কাউন্সিলর নির্বাচিত করা হয়।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও জামাতার কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খন্দকার মাশরুর হোসেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফরিদপুরের কাউন্সিলরদের তালিকা নির্ধারণের জন্য গতকাল শুক্রবার ধানমন্ডির কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহা ও তাঁকে ডেকেছিলেন। সেখানে ফরিদপুর জেলা থেকে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ও খন্দকার মাশরুর হোসেনসহ ৮৩ জন কাউন্সিলর করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে, সারা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতি ২৫ হাজার জনের বিপরীতে একজন করে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে হয়। আর ভগ্নাংশের বেলায় ১২ হাজারের বেশি জনের বিপরীতে একজন কাউন্সিলর নির্বাচন করা যায়। দলের মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা কাউন্সিলর নির্বাচন করতে পারেন। এবারের সম্মেলনে ৬ হাজার ৫৭০ জন কাউন্সিলর ও সমসংখ্যক প্রতিনিধি অংশ নেবেন।
এর আগে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ (দক্ষিণ) শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এবার সায়মা হোসেনের নাম ফরিদপুরের তালিকাতেও এসেছে। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ তাদের অন্যতম কাউন্সিলর হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নির্বাচন করে। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে কাউন্সিলর করেছে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ।