বন্যা নিয়ে সংসদে আলোচনা চান বিএনপির হারুন

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা চান বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। আজ সোমবার পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এই দাবি জানান।

হারুনুর রশীদ বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহতম বন্যায় সুনামগঞ্জসহ সিলেট বিভাগ পানির নিচে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই সময়ে সংসদে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।

সংসদে আলোচনার জন্য একটি মুলতবি প্রস্তাব দিয়েছেন জানিয়ে হারুন বলেন, সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা হয়েছে বাজেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনার জন্য কোনো দিন মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না।

এ সময় হারুনের উদ্দেশে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনি নিজেই তো পড়েছেন।’

তখন হারুনুর রশীদ বলেন, কার্যপ্রণালি বিধি যখন প্রস্তুত হয়েছে, তখন সিলেটে এ ধরনের বন্যা হয়নি। ১২২ বছরের মধ্যে যে ভয়াবহ বন্যা এবং মানুষ ওখানে আজকে ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে।

এ সময় স্পিকার বলেন, ‘আপনি পয়েন্ট অব অর্ডারের ওপর বললে বলেন। কার্যপ্রণালি বিধির ওপর বলার সুযোগ নেই। কারণ, আপনি নিজেই পড়ে শুনিয়েছেন। বাজেট অধিবেশনে মুলতবির কোনো সুযোগ নেই।’

তখন হারুন বলেন, ‘আমরা আলোচনা চাই। আমরা কিছুদিন আগে সীতাকুণ্ডে যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, সেটার ব্যাপারে মন্ত্রীর বিবৃতি চাইলাম। এখনো বিবৃতি পাই নাই।

সেখানকার অবস্থা কী, আমরা এখনো জানি না। বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হচ্ছে। সেখানে মানুষ যে দুর্ভোগে আছে, এই বিষয়গুলো নিয়ে কি আলোচনা হবে না?’
হারুন বলেন, ‘অতীতে সাধারণ আলোচনায় মাঝেমধ্যে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনার সুযোগ চাই। যদি আপনি বলে দেন যে সাধারণ আলোচনা ছাড়া কোনো আলোচনা হবে না, তাহলে আপনি নির্ধারণ করে দেন যে আমরা কবে বক্তৃতা দেব, সেদিন ছাড়া আমরা আসব না।’

সংসদের খালি আসনগুলো দেখিয়ে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আজকে দেখেন সমস্ত চেয়ার খালি, সমস্ত মন্ত্রীদের চেয়ার খালি। বিরোধী দলের সদস্যরা নাই। আজকে কেন থাকছে না? আপনি যদি সংসদের কার্যক্রমে বিরোধী দলের সদস্য, সরকার দলের সদস্যদের অংশগ্রহণ করার সুযোগ না দেন, তাহলে আপনি নির্ধারণ করে দেন যে আমরা কবে বক্তৃতা দিতে আসব। বাদ বাকি দিন আসার কোনো প্রয়োজন নাই।’

স্পিকারের উদ্দেশে হারুন বলেন, তিনি চান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। এই পরিস্থিতিতে সরকার কী করছে, কী করা দরকার, এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হওয়া দরকার।