বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে, সরকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি: জি এম কাদের

জি এম কাদের
ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের কোনো দরদ নেই। তিনি বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সরকার বুঝে না বুঝে সমর্থন দিচ্ছে। কৃত্রিম সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। মন্ত্রীর বক্তব্যে মনে হচ্ছে, সরকার যেন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির কো-চেয়ারম্যানদের সঙ্গে ঈদ–পরবর্তী এক সভায় জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

সয়াবিন তেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করেছেন বলে গতকাল সোমবার মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কারচুপির কারণে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। দামও বেড়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের আমি বিশ্বাস করে বলেছিলাম, আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তাঁরা দাম বাড়িয়েছেন। তাঁদের ভালোবেসে বিশ্বাস করে বলেছিলাম যে আপনারা দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তাঁদের বিশ্বাস করা ছিল আমার ব্যর্থতা। এভাবে বলা আমার ঠিক হয়নি।’

আজ সেই প্রসঙ্গ তুলে জি এম কাদের বলেন, গত সপ্তাহে বাজারে সয়াবিন তেল ছিল না কিন্তু এখন বিভিন্ন গুদাম থেকে শত শত বোতল সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হচ্ছে। সরকার জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে অনেক, মানুষ সংসার চালাতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। মানুষের জীবনে স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। সাধারণ মানুষ এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায়।

জি এম কাদের আরও বলেন, সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করছে দেশের সাধারণ মানুষ। করোনার কারণে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন, আবার প্রতিদিন বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তার ওপর প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। খেটে খাওয়া মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে আছে, দেখার যেন কেউ নেই।

জি এম কাদের বলেন, সরকার টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চাচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে এমন বাস্তবতা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। ওয়ার্ডভিত্তিক রেশন কার্ড চালুর মাধ্যমে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে।

এ সময় বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন, সালমা ইসলাম।