বর্তমান সরকারকে অবশ্যই ক্ষমতা থেকে যেতে হবে মন্তব্য করে বাম রাজনৈতিক দলের নেতারা বলছেন, দেশে গণতন্ত্র এক গভীর সংকটে নিপতিত। এই দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বামপন্থী দলগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এর জন্য রাষ্ট্র পরিচালনা করার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা তাদের থাকতে হবে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শনিবার বিকেলে এক সেমিনারে বামপন্থী বিভিন্ন দলের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিস্ট আন্দোলন: সংকট, সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
সেমিনারে কমিউনিস্ট নেতাদের বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংহতি বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, অনেকে বলে থাকেন বাম শক্তি শুয়ে পড়েছে। অনেক সাবেক বাম নেতাও এটা বলতে ভালোবাসেন। অথচ সমাজের প্রতি ক্ষেত্রে বাম শক্তি সক্রিয়। যে ভুলগুলো অতীতে হয়েছে, যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, কমিউনিস্টদের খেয়াল রাখতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই সরকারকে অবশ্যই যেতে হবে। তা না হলে ভাত-কাপড়-রুটি-রুজির সংগ্রাম, ভোটাধিকার, গণতন্ত্রের সংগ্রাম—কোনোটাতেই সফল হওয়া যাবে না। এখন বামপন্থীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনা করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোনো।
তিনি বলেন, বিকল্প সামনে আনতে হবে। এই মুহূর্তে দরকার, বামপন্থী সরকার। আন্দোলনে নতুন মাত্রা আনতে হবে।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে বাসদের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় অঞ্চলগতভাবে, আন্তর্জাতিকভাবে এবং জাতীয়ভাবে কমিউনিস্টদের মধ্যে সংহতি করা দরকার। সংহতি ছাড়া গতি নেই। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো একের পর এক ধ্বংস হয়েছে। কোনো জবাবদিহিও নেই।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এক গভীর সংকটে নিপতিত। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কথা বলতে দেওয়া হয় না। বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার বাম নেতা তিলভিন সিলভা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।