বিএনপির কর্মসূচি মানেই আতঙ্ক: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কর্মসূচির নামে কোনোরূপ সন্ত্রাস ও জনভোগান্তি সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোরভাবে তা প্রতিহত করবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সভা-সমাবেশ সকলের সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সমাবেশের অনুমতি না দিলে বিএনপি বলত, সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, আর অনুমতি দিলে হামলা, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে। বিএনপির কর্মসূচি মানেই জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।’

গত মঙ্গলবার নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সক্ষম নয় এবং তাদের কর্মসূচি মানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা বলে দাবি করেন কাদের। মঙ্গলবারের কথিত সম্প্রীতি সমাবেশের আড়ালে বিএনপির ভিন্ন কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আসলে হামলা, সংঘর্ষ, ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাস করা বিএনপির রাজনীতি, সেটা পূজামণ্ডপে হোক আর নয়াপল্টনে হোক, বিএনপি এ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না।

পূজামণ্ডপের ঘটনায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের মামলা দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে তিনি বলেন, কে কোন দল করে, সেটা দেখে নয়, ভিডিও ফুটেজ দেখেই চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার মাধ্যমে বিএনপি পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার তা শক্ত হাতে দমন করেছে। বিএনপি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে এবং বিভেদ তৈরি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করছে দেশকে উন্নয়ন–সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে, আর এটাই বিএনপির গাত্রদাহের কারণ।

সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায় জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার কখনো খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, সরকার চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন, আর খালি মাঠে গোল দিতে আওয়ামী লীগ অভ্যস্ত নয়।

বিএনপি নেতারা তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ও কর্মী–সমর্থকদের রোষানল থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নয়, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীন।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পরবর্তী ধাপে যেসব এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেসব এলাকার আওয়ামী লীগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউনিটগুলোকে এখন থেকেই মিটিং করে রেজল্যুশন প্রস্তুত করতে হবে। যখন যে এলাকার জন্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে, তার পরপরই ইউনিয়ন থেকে উপজেলা ও জেলা হয়ে রেজল্যুশন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।