বিএনপির কিছু নেতা আপত্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন: এলডিপি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ।

অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, বিএনপির কিছু নেতা একদিকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, অন্যদিকে কেউ কেউ ঐক্য বিনষ্টের জন্য বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আপত্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে ‘ঐক্য বিনষ্টের প্রয়াস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রেদোয়ান আহমেদ এ কথা বলেন।

গত রোববার নয়াপল্টনে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচনের আগে ‘জাতীয় সরকারের’ দাবি করা রাজনীতিকদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, যাঁরা নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে রেখে জাতীয় সরকারের কথা বলেন, তাঁরা নিশ্চয়ই সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।

রুহুল কবির রিজভীর এ বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে রেদোয়ান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, এই সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই কেউ চায় নির্দলীয় সরকার, কেউ চায় নির্বাচনকালীন সরকার, কেউ চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এলডিপি চায় জাতীয় সরকার। তিনি বলেন, একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে এলিডিপির নিজস্ব মতামত আছে। একটি দল তাদের নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশ করলে তারা সরকারের দোসর হয়ে যাবে, জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রেদোয়ান আহমেদ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে মন্ত্রীসহ বিভিন্ন প্রস্তাব থাকলেও এলডিপি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। এলডিপি সেদিন জোট ত্যাগ করলে ২০–দলীয় জোট ক্ষতিগ্রস্ত হতো। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকারের তরফ থেকে অনেক লোভনীয় প্রস্তাব থাকলেও আমরা তা গ্রহণ করিনি। দুঃসময়ে আমরা বিএনপির পাশে থেকেছি। ভবিষ্যতেও থাকব।’

এলডিপির মহাসচিব আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে ২০-দলীয় জোটকে উপেক্ষা করে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করায় তখন আমাদের দ্বিমত থাকলেও বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে এলডিপি বিএনপির পাশে থেকেছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেও প্রহসনের সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবু বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি।’ তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল তার নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে। এ কারণে তারা সরকারের দোসর হয়ে যাবে, তা জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের প্রয়াসমাত্র। এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করতে হবে।