বিএনপি নেতা আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত না: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে রাজনীতি ও দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম পরিপন্থী, অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অসভ্যতার চরম উদাহরণ। কোনো সভ্য সমাজের সভ্য রাজনৈতিক কর্মী এ ধরনের কথা বলতে পারে না। আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডেমরার আমুলিয়া ব্রিটিশ স্কুল প্রাঙ্গণে ৭০ নম্বর ওয়ার্ড আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মুখ ও জিব সামলে শালীনতা বজায় রেখে বিএনপি নেতা–কর্মীদের কথা বলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মুখ সামলান, জিব সামলান। যদি না সামলান, তাহলে এ দেশের মানুষ জানে, কীভাবে আপনাদের সামলাতে হয়।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হলো, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতা–কর্মীরা এ ধরনের অশালীন বক্তব্যকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, এটাই বিএনপির চরিত্র; যেখানে আওয়ামী লীগ অশালীন বক্তব্যকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না বরং নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এ রায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে

বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, এ রায় আবারও প্রমাণ করেছে, সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ যা–ই করুক, অন্যায় করলে তাঁকে আইনের আওতায় আসতে হবে; আওয়ামী লীগ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।

ছাত্রদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ও চেতনা মেনে চলতে হবে। রাজনীতি করতে এসে অপকর্মে জড়িত হওয়া যাবে না। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। এ রায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের সঞ্চালনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।