বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অন্যায্য ও অনৈতিক: বাম গণতান্ত্রিক জোট

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে মিছিল করে বাম গণতান্ত্রিক জোট
ছবি: সংগৃহীত

অযৌক্তিকভাবে বেশি খরচে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে অহেতুক ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে এই দুর্নীতি, অপচয় ও সিস্টেম লস দূর করা হয়নি। এ অবস্থায় খরচ বেড়েছে বলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা অন্যায্য, অন্যায় ও অনৈতিক। অযৌক্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ব্যয়ের টাকা জনগণ দেবে না।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ চার দফা দাবিতে আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তার এ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ, মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।

আরও পড়ুন

গত বুধবার বিদ্যুতের দাম পাইকারি পর্যায়ে গড়ে প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এ সুপারিশ ও গণশুনানির ভিত্তিতে কমিশন দাম বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

সমাবেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ করা, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা, জ্বালানি খাতের অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধ করা এবং দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

জ্বালানি খাতে ভুল নীতি ও দুর্নীতি উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে দাবি করেন বক্তারা। তাঁরা বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বেড়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র বসিয়ে রেখে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি লুটেরা ও কমিশনভোগীদের পকেট ভারী হচ্ছে।

আরও পড়ুন

জনগণের স্বার্থ না দেখতে পারলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন বাম জোটের নেতারা। তাঁরা সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল কয়লাবিদ্যুৎসহ অন্যান্য কয়লাবিদ্যুৎ ও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বন্ধেরও দাবি জানান। সমাবেশ শেষে তাঁরা একটি মিছিল করেন।