প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, বৈষম্য নিরোধে একটি মনিটরিং কমিটি থাকবে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী কমিটি করা হবে। স্থানীয় ও জাতীয় কমিটি প্রতিকার দিতে না পারলে আদালতে মামলা করা যাবে। আদালত যথাযথ প্রতিকারের আদেশ এবং প্রয়োজনে আর্থিক জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে তুলতে গেলে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ এটি উত্থাপনের আপত্তি জানান। তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী এই বিলের কী প্রয়োজন পড়েছে, তিনি বুঝতে পারছেন না। হারুন ‘পাবলিক প্লেসের’ সংজ্ঞায় ধর্মীয় উপাসনালয় রাখার বিরোধিতা করে বলেন, ‘ধর্মীয় উপাসনালয় পাবলিক প্লেস নয়।’ তিনি ধর্মীয় স্থানে প্রবেশ করতে না দিলে বৈষম্য হবে—এ ধারার ব্যাখ্যা চান।

উপযুক্ত কারণে কোনো শিশুর বাবা বা মায়ের পরিচয় দেওয়ার অসমর্থতার বিষয়ে হারুন বলেন, এই বিধান থাকলে ব্যভিচারকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে। পিতৃপরিচয়ে সমস্যা থাকলে মাতৃপরিচয় থাকতে হবে।

অবশ্য হারুনের আপত্তি ভোটে টেকেনি। পরে বিলটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।