মন্টু–সুব্রতের কমিটিকে স্বীকৃতি না দেওয়া প্রশ্নে রুল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি এবং আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত নতুন কমিটিকে স্বীকৃতি না দেওয়া প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন নেতৃত্বাধীন গণফোরামের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান হয়। সেখানে মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি এবং গণফোরামের আরেক নেতা সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এতে ১৫৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এরপর গত ২৭ জানুয়ারি নতুন কমিটি বরাবরে ‘গণফোরামের’ নিবন্ধন ও প্রতীকের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেন তাঁরা। আবেদন ১৬ ফেব্রুয়ারি নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়, অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে বর্তমান সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ‘গণফোরাম’–এর গঠনতন্ত্র অনুসারে ওই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আপনাদের (মন্টু ও সুব্রত) পাঠানো পত্রটি (আবেদন) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নামঞ্জুর হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারির চিঠির বৈধতা নিয়ে মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মহসীন রশীদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মহিউদ্দিন কাদের।

পরে আইনজীবী জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রথম আলোকে বলেন, ষষ্ঠ কাউন্সিলে মোস্তফা মহসীন মন্টুকে সভাপতি এবং সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত নতুন কমিটিকে স্বীকৃতি দিতে নির্বাচন কমিশন আবেদন করা হয়। নির্বাচন কমিশন এই আবেদন ১৬ ফেব্রুয়ারি না মঞ্জুর করেন। নতুন ওই কমিটিকে স্বীকৃতি না দেওয়া–সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের ১৬ ফেব্রুয়ারির চিঠি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না এবং ওই কমিটিকে কেন স্বীকৃতি দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিব এবং ড. কামাল হোসেনসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।