মৌলভীবাজারে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় হট্টগোল

মৌলভীবাজার জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভা চলার সময় হট্টগোল হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মৌলভীবাজারে সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামেছবি: প্রথম আলো

মৌলভীবাজারে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভায় নেতৃত্ব নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা হট্টগোল হয়েছে। নেতা-কর্মীদের একটি অংশ বর্তমান জেলা আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের দাবিসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃত্ব নিয়ে হট্টগোল করেছেন। হট্টগোলের কারণে শান্তিপূর্ণভাবে সভার নির্ধারিত কর্মসূচি পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. মাহবুবুল আলম শামীম। আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান, আতিকুর রহমান আতিক, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টি বড়লেখা উপজেলা কমিটির সভাপতি আহমেদ রিয়াজ, কুলাউড়া উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালিক, জুড়ী উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক রুবেল আহমদ, জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দুরুদ আলী, জেলা কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

জেলা জাতীয় পার্টি, উপস্থিত নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টার দিকে। কিন্তু সভা শুরু হয়েছে অনেক দেরিতে। সভা শুরুর মুহূর্ত থেকেই জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দলের নেতা-কর্মীরা জেলার আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের দাবিসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। স্থানীয় অনেকের বক্তৃতার সময় নেতা-কর্মীদের অনেকে হট্টগোল করতে থাকেন। এভাবে কয়েক দফা হট্টগোল ও চিৎকারের কারণে বর্ধিত সভার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মুজিবুল হক হট্টগোল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। সন্ধ্যার দিকে সভা শেষ হয়েছে।

জাতীয় পার্টি জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কামাল হোসেন বলেন, জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি, সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনেক নেতা-কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যের সময় বক্তব্য শুনতে চান না বলে নেতা-কর্মীরা হট্টগোল করেছেন। তিন-চারবার এ রকম হট্টগোল হয়েছে। তবে হাতাহাতি বা অন্য কিছু হয়নি। পরে কেন্দ্রীয় মহাসচিব সান্ত্বনা দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। সন্ধ্যার দিকে সুন্দরভাবে সভা শেষ হয়েছে।