যৌথ প্রযোজনায় এই নাটক করা হয়েছে: খন্দকার মোশাররফ

খন্দকার মোশাররফ হোসেন
ফাইল ছবি

কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা সরকারের সাজানো নাটক বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এটা একটা ষড়যন্ত্র এবং তাদের একটা অপকৌশল। তা না হলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে দুর্গাপূজার সময়ে কুমিল্লায় এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না।

শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জনগণের দৃষ্টি অন্য খাতে প্রবাহিত করার জন্য এবং হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে অন্য দেশে রাজনীতি—এটার সুবিধা নেওয়ার জন্য যৌথ প্রযোজনায় এই নাটকটা করা হয়েছে। কিন্তু নাটকটাতে সরকারের ক্ষতি হয়েছে, তারা ধরাও পড়েছে।

কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনার উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দেশে জিডি করতে হলে ওই থানার ওসি বলে যে আওয়ামী লীগের এমপিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, আওয়ামী লীগের উপজেলার সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, তারপরে জিডি হবে। সে রকম একজন থানার ওসির সামনে মন্দির থেকে কোরআন শরিফ উদ্ধারের বিষয়টি ফেসবুকে লাইভ করা হয়েছে।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘হিন্দু নেতারা বলেছেন কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের এমপির এখানে ইন্ধন আছে। যদি সরকারের ইন্ধন না থাকবে, তাহলে ওই থানার ওসি এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে চেষ্টা করত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে, এটা তো আমরা বলতে পারি।’

কুমিল্লার ঘটনার রেশে বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে আক্রমণের ঘটনার উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ফেনীর মন্দিরের পুরোহিত সাহেব বলেছেন, তিনি এসপিকে বলেছেন, বিভিন্ন মহলে বলেছেন, এখানে ঘটনা হতে পারে। শহরে ও উপজেলায় এত বিজেপি, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও এতক্ষণ ধরে ঘটনা ঘটছে অথচ তারা আসার সময় পায়নি। কারণটা কী? এগুলো প্রমাণ করে সরকার নিজে ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে সরাতে চাচ্ছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’

জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, নবীন দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।