রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মুরাদ হাসান
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মতো মিতভাষী ও সজ্জন ব্যক্তি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। তিনি বলেছেন, রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নেওয়া সৈয়দ আশরাফ দেশের কল্যাণে তাঁর অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু একাডেমি এই সভার আয়োজন করে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, প্রয়াত নেতা সৈয়দ আশরাফ বাংলাদেশের রাজনীতির একটি অনন্য উদাহরণ। তিনি একজন নির্মোহ ও নির্লোভ ব্যক্তি এবং সফল ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। আওয়ামী লীগ যখন দুঃসময় অতিক্রম করছিল, এক-এগারোর সময় তৎকালীন সেনা–সমর্থিত সরকার যখন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কারারুদ্ধ করেছিল, তখন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফ। তাঁর সাহসী ভূমিকা, দূরদর্শী প্রজ্ঞা ও চিন্তা-চেতনা এবং কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা সবকিছুকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনার কারামুক্তির জন্য যে দুর্বার আন্দোলনের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন, তা এই দেশের মানুষ কোনো দিন ভুলতে পারবে না। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরিতে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা অনস্বীকার্য ও অপরিসীম।

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামসুল হক রেজা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হমায়ূন কবির মিজি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।