রাষ্ট্রপতিকে জাতীয় সংলাপ ডাকের আহ্বান হুদার

নাজমুল হুদা

দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের ডাক দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নাম প্রস্তাব করেছে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)।

বিএনএর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংলাপের ডাকের আহ্বান জানান নাজমুল হুদা। তিনি বলেন, জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে সংলাপ সঞ্চালনা করবে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বা এ রকম নিরপেক্ষ কোনো প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেকের আলোচনার সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করে জাতীয় সংলাপের ফলাফল জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। এই সংলাপে যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, তার ভিত্তিতে আইন প্রবর্তন ও সংশোধন করতে হবে। এমনকি সংবিধানকেও প্রয়োজন হলে জাতীয় সংলাপের প্রতিফলনে ও বাস্তবায়নে সংশোধন করতে হবে।

এনডিএমের প্রস্তাব

এদিকে নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার এবং নির্বাচনসংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার সংস্কার নিয়ে এনডিএমের প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া হয়েছে। এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজের সই করা এ–সংক্রান্ত চিঠি ও লিখিত প্রস্তাব দলটির একটি প্রতিনিধিদল আজ বঙ্গভবনে পৌঁছে দেয়। সেখানে সার্চ কমিটি ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

এনডিএম প্রস্তাবিত সার্চ কমিটির সদস্যরা হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইনাম আলী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী ও হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন।

আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান, সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকীকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রস্তাব করেছে এনডিএম।

প্রস্তাবিত নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের বিষয়ে ববি হাজ্জাজ বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার হবে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব রাজনৈতিক দল থেকে এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদ গঠন করতে হবে। এই সরকারের প্রধান হবেন সংসদ নেতা। সংসদের বাইরের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্য থেকে এই সরকারের টেকনোক্র্যাট কোটায় পূর্ণমন্ত্রী অথবা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে বলেও প্রস্তাব করেন তিনি।