পল্টনে লাঠি হাতে হেফাজতের মিছিল, উত্তেজনা

পল্টন এলাকায় হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা লাঠিহাতে মিছিলে নামলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া হয় সরকারি দলের নেতা–কর্মীদের
ছবি: তানভীর আহম্মেদ

হেফাজতে ইসলামের হরতাল কর্মসূচিকে ঘিরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, পুরানা পল্টন ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

আজ রোববার সকালেই হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অবস্থান নেন। অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এবং এর আশপাশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও ছিলেন সতর্ক অবস্থানে।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হেফাজতের কর্মীরা লাঠি হাতে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় ইট ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বায়তুল মোকাররম এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে হেফাজতে ইসলাম
ছবি: তানভীর আহম্মেদ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হেফাজতকর্মীরা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অবস্থান নিলে পুরানা পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তাঁরা খানিক পরপরই মিছিল করছেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আসেন। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘জনগণ হরতালকে সমর্থন জানিয়েছে। তাঁরা ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে সরকার।’ তিনি আরও বলেন, বন্দুকের নল ও সন্ত্রাস দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। ডান-বাম ভেদাভেদ ভুলে সব পক্ষকে নিয়েই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

হেফাজতের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাও বক্তৃতা করেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনের দিকে এগোতে থাকে মিছিলটি। এ সময় মুক্তাঙ্গনের দিকে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মৃদু উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ মাঝখানে অবস্থান নিলে হেফাজতের মিছিলটি কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে চলে যায়।