শম্ভুর আসনে আ.লীগের ৫২ জন

ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

বরগুনা-১ আসনে কেবল আওয়ামী লীগ থেকেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫২ জন। এত সংখ্যক ফরম সংগ্রহের পেছনে দলীয় কোন্দল অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বরগুনা সদর, আমতলী, তালতলী উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসন।

যাঁরা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন তাঁদের একটি অংশ বর্তমান সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

দলীয় কোন্দলের কারণে জেলা আওয়ামী লীগের একটি অংশ গত ৪ সেপ্টেম্বর বরগুনায় সংবাদ সম্মেলনও করেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম সরোয়ার টুকু প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংসদ এমন সব পর্যায়ের লোকজনকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম কিনিয়েছেন যে এলাকায় মুখ দেখানো যায় না। সাংসদ জানেন এঁরা কারা, এঁদের পরিচয় কী।’

সাংসদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলীয় কোন্দলের কারণে গণহারে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এটা নোংরা রাজনীতির খেলা। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

এ বিষয়ে সাংসদ শম্ভুর সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।

যাঁরা ফরম নিয়েছেন

যাঁরা ফরম নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুর আহসান, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক জোমাদ্দার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম সরওয়ার ফোরকান, আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হুমায়ুন কবির, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জামাল বিশ্বাস, প্রয়াত সাবেক সাংসদ নিজাম তালুকদারের স্ত্রী জাকিয়া এলিচ এবং প্রয়াত সাংসদ সিদিকুর রহমানের মেয়ে সোহেলী পারভীন, সাংসদ শম্ভুর স্ত্রী মাধবী দেবনাথ, বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রইসুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুজ্জামান, বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদের ভায়রা সিদ্দিকুর রহমান, আমতলী পৌর মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, তালতলী উপজেলা পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান প্রমুখ।