শেখ হাসিনা তৈরি করেছেন ‘উদাহরণ’, খালেদা জিয়া ‘কলঙ্কিত ইতিহাস’: জুনাইদ আহ্‌মেদ

নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদারছবি: প্রথম আলো

একটি দেশ ও জাতির এগিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব কতটা গুরুত্বপূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর একটি ‘উৎকৃষ্ট উদাহরণ’ তৈরি করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে ‘কলঙ্কিত ইতিহাস’ তৈরি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ৷

মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে এক অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহ্‌মেদ এসব কথা বলেন৷ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সংগ্রামী নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন ও ল্যাপটপ বিতরণ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন৷ নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার৷

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহ্‌মেদ আরও বলেন, ‘যৌতুকপ্রথা ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে আমরা অনেকেই কথা বলি৷ কিন্তু সমাধানের পথ দেখান কেবল সাহসী নেতারাই৷ জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর এমন এক সমাধান দিলেন, যার ফলে স্বল্পশিক্ষিত তরুণীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেলেন৷ প্রাথমিকের নিয়োগে তিনি শুধু নারী শিক্ষকদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দিলেন৷ এইচএসসি পাস একজন নারী একটি সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তাঁকে আর বাল্যবিবাহের ভয় করতে হয় না, সেই নারীর মা–বাবাকেও যৌতুকের জন্য দুশ্চিন্তা করতে হয় না এবং তাঁর আত্মমর্যাদা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হয় না৷’
শেখ হাসিনার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনার ফলে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ‘নারীর ক্ষমতায়নের দৃষ্টান্ত’ হিসেবে পৃথিবীর কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী৷

নারী দিবসে এই আয়োজনের বিষয়ে জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, করোনাকালে সাহসী ভূমিকার জন্য ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার শেখ হাসিনা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন৷ সেই পুরস্কার থেকে পাওয়া ২১ হাজার টাকা মহৎ কাজে ব্যয় করার জন্য তিনি এই আয়োজন করেছেন৷ উদ্দেশ্য মহৎ থাকলে অনেক ছোট উদ্যোগকেও যে সফল করা যায়, তার একটি উদাহরণ তিলোত্তমা৷

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘একজন নারীকে যেদিন আমরা মানুষ হিসেবে দেখতে পারব, সেদিনই বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সোনার বাংলা অর্জিত হবে৷ নারীদের বলব, দয়া করে যোগ্যতা অর্জন করো৷ একজন পুরুষের সঙ্গে একই কাতারে যেতে হলে তোমার তাঁর থেকে কমপক্ষে পাঁচ গুণ বেশি যোগ্যতা থাকতে হবে৷ একই সঙ্গে থাকতে হবে নিষ্ঠা, সততা ও সাহস৷ তাহলে কেউ তোমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না৷’

তিলোত্তমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং নাভানা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহেদ আজিজুর রহমান বক্তব্য দেন৷