সব কর্মসূচি স্থগিত করল বিএনপি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দলীয় সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে সরকারকেও সব কর্মসূচি স্থগিত করে করোনার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিপজ্জনক অবস্থায় উপনীত হয়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে জনমনে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিএনপির গৃহীত সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।’
দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা মনে করছি, এই মুহূর্তে সমাবেশ বন্ধ করা দরকার। যে কারণে আমরা সব স্থগিত করছি। দেশবাসী এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি একটাই অনুরোধ থাকবে, সবাই মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। অতিরিক্ত ভিড়ে গিয়ে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত করে করোনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া এবং করোনার সংক্রমণ যেন কমে, তার ব্যবস্থা করা।
খন্দকার মোশাররফ জানান, বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে ২৫ মার্চ আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ সুবর্ণজয়ন্তীর শোভাযাত্রা ও ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুবর্ণজয়ন্তীর সমাবেশ ছিল। এ সব কর্মসূচির কোনোটিরই তাঁরা অনুমতি পাননি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা মনে করছি, এই মুহূর্তে সমাবেশ বন্ধ করা দরকার। যে কারণে আমরা সব স্থগিত করছি। দেশবাসী এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি একটাই অনুরোধ থাকবে, সবাই মাস্ক পরবেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। অতিরিক্ত ভিড়ে গিয়ে নিজেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবেন না। সরকারের উচিত হবে অবিলম্বে সমস্ত কর্মসূচি স্থগিত করে করোনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া এবং করোনার সংক্রমণ যেন কমে, তার ব্যবস্থা করা।’
সংবাদ সম্মেলনে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সদস্যসচিব আবদুস সালাম ও দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।