২০–দলীয় জোট আছে বললেও সঠিক, নাই বললেও সঠিক: সৈয়দ ইবরাহিম

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, এখন ২০-দলীয় জোট আছে বললেও সঠিক, নেই বললেও সঠিক। আর এ বিষয়ে তাঁর দলের অবস্থান ‘দুই পা দুই দিকে’ যেমন।

‘বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ নিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে মহাখালীর ডিওএসএইচের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এ কথা বলেন।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিএনপির জোট ছেড়ে আপনারা ভিন্ন কোনো অবস্থান নিচ্ছেন কি না? জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এটার উত্তর হ্যাঁ বা না দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। কারণ, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো বিএনপি জোটের অংশীদার। তবে, আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলব, প্রধান শরিক বিএনপি যদি জোটকে সক্রিয় করতে চায়, যদি অতীতের ভুলগুলোর আত্মসমালোচনা করে পরিবেশ ভিন্ন করতে পারেন, তাহলে আমরা ইনশা আল্লাহ একসঙ্গে পথ চলব। কারণ, একতাই শক্তি, আলাদাভাবে চলা কষ্টকর।’

আগামী সংসদ নির্বাচনে আলাদাভাবে করার চিন্তা করছেন কি না, জানতে চাইলে সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, ‘যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা নিশ্চিতভাবে গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের আন্দোলনে সক্রিয় থাকব। সেগুলো সাপেক্ষেই সংসদ নির্বাচন হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে রাতের ভোটে আমরা অংশ নিতে রাজি নই।’

এই মুহূর্তে ২০-দলীয় জোট কী অবস্থানে, এমন প্রশ্নের জবাবে কল্যাণ পার্টির সভাপতি বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ ২০-দলীয় জোটের মিটিং হচ্ছে না, এটা যেমন বাস্তব। তাহলে এটা আছে বললেও সঠিক, আবার নেই বললেও সঠিক। মাঝখানে যদি বলি, দুই পা দুই দিকে—সেটাও সঠিক। আমরা আশা করছি, জোটের প্রধান শরিক একটা সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ, তারা বারবার বলছে, তারা বৃহত্তর ঐক্য চায়। কিন্তু সেটার রূপরেখা এখনো উপস্থাপিত হয়নি।’

কল্যাণ পার্টির এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ২০-দলীয় জোটের শরিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপির একাংশ) চেয়ারম্যান ক্বারি আবু তাহের, জাগপার (একাংশ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ প্রধানসহ কল্যাণ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম করোনার টিকা সংগ্রহের চেষ্টা অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ‘উপযুক্ত’ নির্বাচন কমিশন গঠন, জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধ এবং তাঁর কবর নিয়ে বিতর্ক না করার আহ্বান জানান।

এ সময় সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নিপীড়ন বন্ধ করে সরকারকে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করি। খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি কামনা করি।’