দাবি অগ্রাহ্য করে যেদিন তফসিল ঘোষণা, সে দিনই হবে সরকারের অন্তিম যাত্রা: রিজভী

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য দেন। ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি অগ্রাহ্য করে যে দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে, সে দিনই এই সরকারের অন্তিম যাত্রা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর হবে না। জনগণের তীব্র আন্দোলনে নিশিরাতের সরকারের পতন ঘটবে।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী ওই মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার তার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তাড়াতাড়ি তফসিল ঘোষণা করাতে চাইবে। কিন্তু দেশের জনগণের সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটাধিকারের যে দাবি, এই দাবিকে অগ্রাহ্য করলে জনগণ সেটা মানবে না। প্রধানমন্ত্রীর সামনে একটি রাস্তাই খোলা, সেটি হলো অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

অবশ্য আজ ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীন দলের হামলার ঘটনা তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এ সময় রুহুল কবির রিজভী গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশ নিয়েও কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, সরকারি টাকা খরচ করে সারা দেশে অলিখিত হরতাল করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছাত্রলীগের সমাবেশে আসার জন্য গাড়ি, লঞ্চ, হোটেলের সিট ফ্রি করে দেওয়া হয়েছিল। হলের খাবার বন্ধ করে দিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে আনা হয়েছিল।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল ঢাকা শহরে এত বাস এসেছে যে শহরে জায়গা হচ্ছিল না। যত লোকজন এসেছে, তার চেয়ে বেশি ছিল বাস। এ জন্য ঢাকা শহরে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করে সমাবেশ করে জোর করে বাস এনে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো যাবে, জনগণের সাড়া পাওয়া যাবে না।

রিজভীর দাবি, এক দিনের প্রস্তুতিতে ঢাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে মানুষের উপচে পড়া তরঙ্গের সৃষ্টি হয়েছিল।