বিএনপি মানেই ভুয়া, বললেন কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

বিএনপি মানেই ভুয়া বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার বিকেলে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা সড়কের ঈদগাঁহ মাঠে এ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

সভায় বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘ভোট চান, কেন ভোট দেবে আপনাদের? ভোট কি দেবে বিষোদ্‌গারের জন্য, ইতিহাস বিকৃতির জন্য, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দায়মুক্তি দেওয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য, স্বাধীনতার আদর্শকে পদদলিত করেছেন, সে জন্য? ‘দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, এই রেকর্ড দিয়ে মানুষের কাছে ভোট চান? বাংলাদেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাংলাদেশকে বিদেশের মাটিতে ছোট করেছেন, সে জন্যই কী ভোট চান?’ আর কিসের জন্য ভোট চান বলেও এ সময় জানতে চান ওবায়দুল কাদের।

ফখরুলের মিথ্যাচার আর কত দিন চলবে জানতে চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ময়মনসিংহ ও ফরিদপুরে নাকি তাঁদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আমি খবর নিয়ে দেখলাম, ফখরুলের ইনফরমেশন ভুয়া।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আজকের গণ–অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘৫৪ দল ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পেড়েছে। বিজয়নগর মোড়ে ১২ দলের সর্বমোট লোক আছে ২৪ জন। ভুয়া, সব ভুয়া। প্রেসক্লাবের সামনে চেয়ার পেতে ৭ দলীয় ঐক্যজোট, গণতন্ত্র মঞ্চ অবস্থান করেছে। বেলা একটা পর্যন্ত ৭ দলের তিনটি দল আছে, চার দল নেই। চেয়ারে যা লোক মঞ্চে তার ডাবল। তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ না। কিছু অনলাইনে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নাকি আমরা করছি—এমন খবর দেখেছি। আমরা বিএনপির সঙ্গে পাল্টপাল্টিতে যেতে চাই না। তারা তাদের কর্মসূচি করছে, আমরা আমাদেরটা করছি।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আয়োজন করবে। সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ সরকার করবে না। ফাইনাল খেলা আগামী বছরের এই জানুয়ারি মাসে হবে।

আরও পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে না আসতে পারলে আজও কি আমরা বিদেশি সৈন্য মুক্ত থাকতে পারতাম? স্বাধীনতা কি অর্থপূর্ণ হতো। তিনি এসেছিলেন বলে বিজয় পূর্ণতা পেয়েছে, স্বাধীনতা সার্থক হয়েছে।’
সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বক্তব্য দেন।