সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে: জোনায়েদ সাকি

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য দেন জোনায়েদ সাকি
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, গণবিরোধী আইন ও পুলিশ দিয়ে সব বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার সকালে এক শ্রমিক সমাবেশে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

ভোটের অধিকার না থাকলে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিসর সমাজে থাকে না উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, পোশাকশ্রমিকেরা যখন মজুরির জন্য আন্দোলন করছেন, তা দমনের জন্য পুলিশ ও শিল্প পুলিশকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

‘মালিকপক্ষের ১০ হাজার ৪০০ টাকা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান এবং নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক আবহাওয়ায় শ্রমিকদের বিপদগ্রস্ত না করে অবিলম্বে ২৫ হাজার টাকা বিবেচনায় নতুন মজুরি ঘোষণার’ দাবিতে এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২২ অক্টোবর মজুরি বোর্ডে মালিকপক্ষ মাত্র ১০ হাজার ৪০০ টাকা প্রস্তাব করেছে। যেখানে শ্রমিকেরা এবং ১১ সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন এক বছরের বেশি সময় ধরে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি করছে। অন্যান্য সংগঠন ২৩ হাজার টাকা দাবি করেছে।

শ্রমিক নেতারা বলেন, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি ও  মুদ্রাস্ফীতির সমন্বয়ে বর্তমানে একজন শ্রমিকের বেতন এমনিতেই ১১ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু পোশাক কারখানার মালিকেরা মজুরি বাড়ানোর বদলে মজুরি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, ২৫ হাজার টাকা মজুরি প্রস্তাব বিবেচনায় এনে নতুন মজুরি প্রস্তাব করতে হবে।

গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের সদস্যসচিব সাদেকুর রহমান, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, রানা প্লাজা শাখার সংগঠক রূপালী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।