ভারত পাশে ছিল বলেই নির্বাচনে বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি: বাসস

ভারত পাশে ছিল বলেই বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র অশুভ হস্তক্ষেপ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেছেন।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ছিল, তা ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো বলে ছিটমহল বিনিময়ের মাধ্যমে ৬৮ বছরের যে সমস্যা, তার শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর সমাধানও অবশ্যই হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে।’ গায়ে পড়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত করে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচালিত ‘ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইন’ সমীচীন নয় বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘ভারতবিরোধী মনোভাব কেন জাগ্রত করার চেষ্টা করা হচ্ছে?  যারা নির্বাচনে আসেনি, এটি তাদের অপপ্রচারের একটা ঢাল। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন  ভারত বিরোধিতায় লিপ্ত হয় একটি মহল। এখনো তারা সেটি করছে।’

বাজারে সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, ‘সিন্ডিকেট কি ভালো? সরকার কেন সিন্ডিকেটকে সমর্থন করবে? সিন্ডিকেট যে বা যাহারা করুক, এর সূত্র খুঁজতে হবে।’

শেখ হাসিনার সরকারকে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যত দিন আছে, তত দিন পাশে আছে। আওয়ামী লীগ আগেও পাশে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অন্য দল ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের মতো আবার পরিস্থিতি তৈরি হবে।’

এর আগে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।

বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত প্রমুখ।