মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের অযোগ্যতার বিধান নেই ইসির পরিপত্রে
মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এমন বিধান যুক্ত করা হলেও প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা পরিপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ইসি সচিবালয় এ–সংক্রান্ত একটি পরিপত্র (পরিপত্র-১) জারি করে।
পরিপত্রে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সময়সূচি জারি, সময়সূচির প্রজ্ঞাপন, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন, সময়সূচির গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার ব্যবহার–সম্পর্কিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি প্রার্থীদের যোগ্যতা ও অযোগ্যতার ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও)১২ অনুচ্ছেদের বিধানগুলো উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ওই পরিপত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের বিধানটি বাদ পড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাদ পড়ার কারণ জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনের এই ধারা ভুলবশত পরিপত্রে বাদ পড়েছে। বিষয়টি আমরা ঠিক করে দেব।’
এর আগে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধানটি আরপিওতে যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশ অনুযায়ী আরপিও সংশোধন না হলেও গত অক্টোবরে অধ্যাদেশের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে বিধানটি যুক্ত করা হয়।
সংশোধিত ওই আইনে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হবেন। এ ছাড়া তিনি কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সদস্য, চেয়ারম্যান বা মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না। এমনকি প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগ বা কোনো সরকারি পদে থাকারও অযোগ্য বিবেচিত হবেন।