সরকারের কারণে পোশাকশিল্পও ধ্বংসের পথে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি (একাংশ) নুরুল হক বলেছেন, এক ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে আজ দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারের একগুঁয়েমির কারণে গত তিন দশকে তিলে তিলে গড়ে ওঠা রপ্তানির বড় খাত পোশাকশিল্প এখন ঝুঁকিতে। পাট, চিনি, চামড়ার পর সরকারের কারণে পোশাকশিল্পও আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পথে। ইউরোপ-আমেরিকা পরিষ্কারভাবে বলছে, শ্রমিকদের সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন না থাকলে তারা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেবে।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নুরুল হক এসব কথা বলেন। নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলগুলোর ডাকা নবম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ।
সমাবেশে নুরুল হক বলেন, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দীদের যেভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হয় বাংলাদেশও আজ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একই আচরণ করা হচ্ছে। মিথ্যা, ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করছে, সাজা দিচ্ছে।
ঢাকা মহানগর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, অন্যায়ভাবে বিএনপি নেতা বুলবুলকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে চুপিসারে তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এভাবে দেশে চলতে পারে না। দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এই কর্তৃত্ববাদী সরকারকে হঠাতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এই ভিপি বলেন, বিএনপি, জামায়াত-হেফাজত, বাম-ডান সবাইকে এক হয়ে পাড়া-মহল্লায় গণঐক্য গঠন করতে হবে। সমমনাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করেছে, আজ তাদের নিয়ে আন্দোলন করলে সমস্যা কোথায়?
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে শত ফুল ফুটবে, কিন্তু ফুল কী ফুটেছে? বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ দেওয়া হয়েছে। গণ অধিকার পরিষদকেও করা হয়েছিল, ‘কিন্তু আমরা মাথা নত করিনি।’
সভা সঞ্চালনা করেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতিমা তাসনিম, আবদুল জাহেরসহ অনেকে।