গণতন্ত্র মঞ্চের মিছিলে পুলিশের বাধা, আহত কয়েকজন
একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ মিছিল বের করলে তাতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় দুই পক্ষের ধস্তাধস্তিতে মঞ্চের বেশ কয়েকজন নেতা রাস্তায় পড়ে যান। গণতন্ত্র মঞ্চ অভিযোগ করেছে, এ সময় পুলিশ হামলা চালিয়ে তাদের বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মীকে আহত করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। তাতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার ডামি নির্বাচন সফল করার স্বার্থে এবং বিরোধী দলের আন্দোলন দমনে পুলিশকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণসংযোগ শুরুর আগে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশে মিলিত হন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সমাবেশে বক্তব্য শেষে নেতা–কর্মীরা মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় ও হামলা করে। হামলায় মঞ্চের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর আগে সমাবেশস্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মিছিলে কয়েক দফায় বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ইউসুফ। সভা সঞ্চালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।
সমাবেশে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে, ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে মানুষ উৎসব করে ভোট দিতে যায়। সামাজিক নিরাপত্তাভোগীদের কার্ড জমা রেখে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাইছে সরকার। সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ-প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছে। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে নিতে চায়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে, লাখ-কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে এর যথাযথ অনুসন্ধান করতে হবে। অর্থমন্ত্রীর দেখা নেই বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরও বিপদে পড়বে। এ জন্য দায়ী থাকবে বর্তমান সরকার।