সরকারের প্রতিপক্ষ মনে হলেই মিথ্যা মামলায় জড়াচ্ছে: জি এম কাদের

জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জি এম কাদের। ২১ আগস্টছবি: দলের সৌজন্যে

দেশে দুষ্টের পালন আর শিষ্টের দমন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে, দাগি আসামি ও খুনিদের জেলখানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অসহায় ও নিরাপদ মানুষদের জেলখানায় আটকে রাখা হচ্ছে।’

জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেন, ‌‌‌‘যাঁকেই সরকারের কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করা হচ্ছে, তাঁদেরই এ ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এভাবেই সাধারণ মানুষকে দমন করা হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয় মিলনায়তনে শুভ জন্মাষ্টমি উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দায়দায়িত্ব এ সরকারকেই নিতে হবে। আপনারা সুন্দরভাবে দেশ চালাতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যান। দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চায়। দেশকে ভালোর দিকে না নিতে পারলেও খারাপের দিকে নেবেন না।’

জাপার একাংশের এই চেয়ারম্যান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকে। এখন যাকে–তাকে আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করায় যেন কোনো অপরাধ নেই। হিন্দু সম্প্রদায়ের নতুন প্রজন্মের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে না। কিন্তু তাদেরও আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ সময় অধিকার আদায়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জাপার রাজনীতিকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ করে জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টির যেসব নেতার কারণে দেশের মানুষ আমাদের দোসর বলে আখ্যা দেয়, সেই নেতারাই এখন সরকারের সাথে যোগাযোগ করে জি এম কাদেরবিহীন জাতীয় পার্টি গড়তে চায়। আমি সরকারের সকল অপকর্মের সমালোচনা করছি, তাই সরকারের একটি অংশ জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতাদের লাঙ্গল প্রতীক দিতে চাচ্ছেন বলে আমাদের দল থেকে বহিষ্কৃত নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন।’

তুষার ঘোষের সভাপতিত্বে ও সমরেশ মণ্ডল মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, যুব ইউনিটের সভাপতি শিবু সাহা, সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার রায়, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাস, বাংলাদেশ ভক্ত সংঘ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অনিল পাল, জাতীয় হিন্দু মহাসংঘের উপদেষ্টা কৃষ্ণ নন্দি, মানবাধিকার নেত্রী সুমা বড়ালসহ আরও অনেকে।