জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী, ভোট দিয়ে বললেন আজমত উল্লা খান

গাজীপুর সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছেন। ২৫ মে
ছবি: খালেদ সরকার

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান তাঁর জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী। এ আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, ‘আজকের জয় নৌকার, নৌকারই হবে। গাজীপুরকে একটি দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গঠনে মানুষের যে প্রত্যয়, তা নৌকার জয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে।’

আজমত উল্লা এটাও বলেন, নির্বাচনে যে ফলাফলই আসুক না কেন, তিনি সেটা মেনে নেবেন। জনরায়ই তাঁর কাছে মূল বিষয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টার দিকে নিজ ওয়ার্ড ৫৭ নম্বরের টঙ্গী দারুসসালাম মাদ্রাসায় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন আজমত উল্লা খান। ভোট দেওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

টঙ্গী দারুসসালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছেন গাজীপুর সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান । ২৫ মে
ছবি: খালেদ সরকার

আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আজকে একটি  সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল থেকে শত শত মানুষ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সুতরাং যাঁরা অপপ্রচার চালিয়েছিলেন যে ভোটাররা কেন্দ্রে আসবেন না বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না, তাঁরা আজ জবাব পেয়ে গেছেন।’

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি  আজমত উল্লা বলেন,  ‘গাজীপুর সিটির মানুষ দীর্ঘ ১০ বছর ধরে হতাশ। তাই তাঁরা সকাল থেকে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটে সাড়া দিচ্ছেন। তাই সবার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’

আজমত উল্লা খান আরও বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মী হিসেবে সব সময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম, জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছি। তাই আজকেও জনগণ যাকে নির্বাচিত করবেন, তাঁকে মেনে নেব। তবে আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন হিজড়া। এই সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড আছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০টি। আর ভোটকক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি

ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রেই স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।