সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিজয়নগরের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ১১-দলীয় জোট। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। তারা আজ ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোয় একযোগে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আজকের গণ-অবস্থান তাদের দ্বিতীয় যুগপৎ কর্মসূচি।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিজয়নগরের আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে ১১-দলীয় জোটের কর্মসূচিতে সব মিলিয়ে ৬৫ জন অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ব্যানার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৪০ জন। বাকি ২৫ জন ফুটপাতে বসে আছেন।
দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন শিশু ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকা থেকে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজন ভাষানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। অন্যজন পড়ে পশ্চিম ভাষানটেক এলাকায় একটি স্কুলে। সেও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। সাইফুল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তারা এসেছে। তবে সাইফুল কোন দলের রাজনীতি করেন, তা তারা জানে না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ২৮ ডিসেম্বর বিএনপির সমমনা ১১ দলীয় জোটের আত্মপ্রকাশ হয়। এই জোটের নেতৃত্বে আছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
১১ দলীয় জোটের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতা অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছোট দলের কর্মসূচিতে লোকজন থাকতে চান না। শুরুতে শতাধিক লোক ছিলেন। পরে অনেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কর্মসূচিতে চলে গেছেন।
কর্মসূচিতে লোকসংখ্যা কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এনপিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এখানে যাঁরা উপস্থিত, তাঁদের বেশির ভাগই এনপিপির লোক।
১১-দলীয় জোটের অন্য শরিকেরা হলো—খন্দকার লুৎফর রহমান ও এস এম শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি ও মো. আকবর হোসেনের নেতৃত্বাধীন ডেমোক্রেটিক লীগ, গরিবে নেওয়াজ ও সৈয়দ মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বাধীন পিপলস লীগ, আবদুর রকিব ও আবদুল করিমের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোট, এম এন শাওন সাদেকী ও দিলীপ কুমার দাসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ন্যাপ, নুরুল আমিন ব্যাপারী ও শাহ আহমেদ বাদলের নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশ, নূরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী দল, এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী ও আবু সৈয়দের নেতৃত্বাধীন গণদল, আজহারুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা আকন্দের নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ভাসানী এবং সুকৃতি মণ্ডলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি।