সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিকেরা ভালো আছেন: হাছান মাহমুদ

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা নাবিকেরা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের নাবিকেরা সবাই ভালো আছেন, তাঁরা কেবিনে আছেন। তাঁদের খাবারদাবারের কোনো সমস্যা নেই। নাবিকদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ এ পর্যন্ত করা হয় নাই।’

সোমালি জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে নাবিক ও জাহাজ শিগগিরই মুক্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহতের বিষয় নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের কনসাল জেনারেল সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে। আমরা আশা করব নিউইয়র্ক প্রশাসন এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। যদি কারও ওভার রিঅ্যাকশন পাওয়া যায় এবং এমন কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘ওই পরিবারের বক্তব্য হচ্ছে, পুলিশ যে পরিস্থিতিতে গুলি করেছে, সেটার প্রয়োজন ছিল না। পুলিশের বক্তব্য ভিন্ন। সেই তরুণকে ছয়টি গুলি করা হয়েছে, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার নিউইয়র্কে নিজের বাসায় পুলিশের গুলিতে মারা যান ১৯ বছর বয়সী উইন রোজারি। ওই তরুণের বাড়ি গাজীপুরে।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি এবং প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ফিরতি চিঠির মাধ্যমে আমাদের ঘনিষ্ঠতা, মিত্রতা, সম্পর্ক আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি।’

আরও পড়ুন

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের মেজর, ক্যাপ্টেন ও সার্জেন্ট র‍্যাঙ্কের তিন সামরিক সদস্য নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। তাঁরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির হেফাজতে আছেন। এই তিনজনসহ বাংলাদেশে আগে ঢুকে পড়া মিয়ানমারের সব বিজেপি ও শুল্ক কর্মকর্তাকে খুব শিগগিরই নৌপথে ফেরত পাঠানো হবে।