ওসমান হাদিকে হত্যা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের অংশ: সিপিবি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি)ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যা ‘নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রেরই অংশ’ বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। এ জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

আজ শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে মুক্তি ভবনে সিপিবির কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

সিপিবির সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রফিকুজ্জামান লায়েক, এস এ রশীদ, রাগিব আহসান মুন্না, জলি তালুকদার, আমিনুল ফরিদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ প্রমুখ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে ওসমান হাদিকে গুলি করার পর ঘাতকেরা নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারাই প্রমাণ করে যে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’ সিপিবির সভা থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচার দাবি করা হয়।

সিপিবি মনে করে, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কিছু সুযোগসন্ধানী উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টারসহ মূলধারার গণমাধ্যমকে আক্রমণ, সংবাদকর্মীদের পুড়িয়ে মারতে উদ্যত হওয়া, উদীচী, ছায়ানটের মতো প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় এবং নালন্দার মতো শিশুদের বিদ্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ সেই পরিকল্পনারই অংশ।

সভায় ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাসকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা ও তাঁর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে নিতে তফসিলে ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়েছে।