নিবন্ধনের ‘কঠিন’ শর্ত পূরণ করেই কাল ইসিতে আবেদন করবে এবি পার্টি

এবি পার্টি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে আগামীকাল আবেদন করবে বলে জানায়
ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন পাওয়ার কার্যক্রম খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। এরপরও সব শর্ত পূরণ করেই তাঁরা নিবন্ধনের জন্য আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা দেবেন।

আজ শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন কার্যক্রমকে কঠিন এবং নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বাংলাদেশে স্বৈরাচারী শাসন চলছে দাবি করে মজিবুর রহমান বলেন, যার কারণে কোনো রাজনৈতিক দলই স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। পুলিশি হয়রানি, সরকারি দলের হুমকিতে বাড়ির মালিকেরা রাজনৈতিক দলকে অফিস ভাড়া দিতে আগ্রহী হন না। তা ছাড়া ২৩ জেলায় ও ১০০ উপজেলায় কমিটি গঠন এবং প্রতিটিতে অন্তত ২০০ এমন সদস্য রাখা, যাঁরা ভোটার, অর্থাৎ ২০–২২ হাজার মানুষের সদস্য হওয়ার দালিলিক প্রমাণ ও কার্যকর অফিস স্থাপন করা দুরূহ ব্যাপার।

মজিবুর রহমান মনে করেন, যেখানে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল সহজ শর্তে নিবন্ধন দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সংহত করা, সেখানে কমিশন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া কঠিন ও ‘অগণতান্ত্রিক’ শর্তের বেড়াজালে আটকে দিয়েছে। তার ওপর এবি পার্টি আত্মপ্রকাশের পর থেকে জামায়াতে ইসলামীর ‘উগ্রপন্থী’ একটি অংশ তাঁদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি হত্যার ফতোয়া পর্যন্ত দিয়েছে বলে দাবি করেন মজিবুর রহমান।

এবি পার্টির সদস্যসচিব জানান, জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের ‘অক্লান্ত’ শ্রম ও ‘আন্তরিক’ ভূমিকায় তাঁরা নির্বাচন কমিশনের শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অব্যাহত নজরদারি এবং একটি বিশেষ দলের নেতা-কর্মীদের হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করে মাঠপর্যায়ে তাদের কমিটি গঠন ও কার্যালয় স্থাপন করতে হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব, তাজুল ইসলাম, গোলাম ফারুক, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বি এম নাজমুল হক প্রমুখ। এর আগে জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা প্রতিনিধিদের নিয়ে সেখানে প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। সম্মেলন শেষে একটি শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।