বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুনে নিজেরাই পুড়ে যাবেন। আমরা যেকোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও সাংবিধানিক নির্বাচিত সরকারব্যবস্থার ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখব।’

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় না পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনারা নির্বাচনে আসতে চাইলে আসবেন, না আসতে চাইলে আসবেন না। আপনাদের জন্য দেশের সার্বিক অগ্রগতি থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।’

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ করায় বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হচ্ছে ভোট চুরির মহারাজা। ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হাইকোর্টের নির্বাচন পণ্ড করতে দফায় দফায় হামলা করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে আপনাদের দলের এক নেতা ভোট চুরি করতে গিয়েছিল। এটা ধরা পড়ে গেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে জিততে তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে গিয়েছে। আজকে সকালে নির্বাচনকে পণ্ড করতে হামলা করেছে। ৪০০ জন সন্ত্রাসী পাঠিয়ে জঙ্গি কায়দায় তারা হামলা পরিচালনা করেছে, ভোট পণ্ড করার জন্য। ব্যালট পেপার ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে দফায় দফায় হামলা করেছে।’

ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন, ‘এক–এগারো বিরাজনীতিকরণের যে অশুভ তৎপরতা ছিল, সেই বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত আবার শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে হটানোর জন্য আবারও বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সামনের দিনগুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, অত্যন্ত কঠিন। আমি সবাইকে আহ্বান করব, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নাই। আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।