ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ শুরু হচ্ছে শুক্রবার
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া ও মিয়ানমারের রাখাইনে করিডর দেওয়ার উদ্যোগের বিরুদ্ধে রোডমার্চ শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’–এর উদ্যোগে এই রোডমার্চ হবে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী এ রোডমার্চ শুরু হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। রোডমার্চটি ফেনী হয়ে ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে শেষ হবে। আয়োজকেরা বলেন, এ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে বামপন্থী, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনসহ অন্তত ৫০টির বেশি সংগঠন। তাঁদের দাবি, বন্দর ইজারা, স্টারলিংক ইন্টারনেট কোম্পানির কার্যক্রম, সমরাস্ত্র কারখানা স্থাপন ও রাখাইন করিডরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী চক্রের যুদ্ধ রাজনীতিতে জড়ানো হচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ, সোনারগাঁ, চান্দিনা ও কুমিল্লা হয়ে প্রথম দিন বিকেলে রোডমার্চ ফেনী পৌঁছাবে। পরদিন ২৮ জুন ফেনী থেকে যাত্রা শুরু করে বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই রোডমার্চ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এক প্রচারপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর কেবল অর্থনীতির চালিকাশক্তিই নয়; বরং জাতীয় নিরাপত্তা ও ভৌগোলিক স্বার্থের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
রোডমার্চের উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দুবাইভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেওয়ার গোপন পরিকল্পনা করছে, যা আন্তর্জাতিক দরপত্র ছাড়াই সম্পন্ন হচ্ছে। এই পদক্ষেপ আত্মঘাতী ও দেশের স্বার্থবিরোধী।
এ ছাড়া মিয়ানমারের রাখাইনে কথিত মানবিক করিডর বাস্তবায়নের প্রস্তাব এবং মার্কিন কোম্পানি স্টারলিংকের কার্যক্রমকে সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, এসব উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভূরাজনৈতিক সংঘাতে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ। সরকারের ডাকে তুরস্ক ও কাতারের সঙ্গে সমরাস্ত্র কারখানা গড়ার পরিকল্পনাকেও যুদ্ধোন্মদনা (সংকট তৈরির রাজনীতি) হিসেবে দেখছেন এবং অবিলম্বে এসব উদ্যোগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।