নুরে আলমের মরদেহের অপেক্ষায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা

ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরে আলমের মরদেহ আসার অপেক্ষায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা–কর্মীরা
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরে আলমের মরদেহ এখনো নয়াপল্টনে পৌঁছায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জানাজা হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি নেতা-কর্মীরা মরদেহ আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।

নুরে আলমের জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়েছেন। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। রাস্তা বন্ধ করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের জমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলের কারণে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের এক পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, নুরে আলমের মরদেহ নয়াপল্টনে পৌঁছাতে আরও এক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাজায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানাজা বিলম্ব হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম দিকে মরদেহ হস্তান্তরে কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছিল। বেলা পৌনে ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত চলছে। সেখান থেকে গোসল করিয়ে মরদেহ নয়াপল্টনে আনা হবে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত নুরে আলম গতকাল বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত রোববার ভোলায় সংঘর্ষের সময় তিনি গুরুতর আহত হন। ওই দিন প্রথমে তাঁকে ভোলা ও বরিশালে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।

রোববার ঘটনার দিন সংঘর্ষকালে গুলিতে আবদুর রহিম মাতব্বর নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অনেকে চিকিৎসাধীন।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি শহরের মহাজনপট্টিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে আড়াই শতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ মিছিল করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ লাঠিপেটা করে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের ৩৩টি শেল ও শটগানের ১৬৫টি গুলি ছোড়ে।