আওয়ামী লীগের সুদিন শেষ, জনগণের সুদিন আসন্ন: এবি পার্টি
‘বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৫ বছরে গুম, খুন, হামলা ও মামলা করে ক্লান্ত হয়ে গেছে। সর্বশক্তি নিয়োগ করেও তারা বাংলার মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে পারেনি। এ দেশের মালিক সাধারণ জনগণ আজ চরম বিক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগের সুদিন শেষ, এবার জনগণের সুদিন আসন্ন।’
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ শুক্রবার আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। সেখানেই নেতারা এসব কথা বলেন বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রাজধানীর বিজয়নগরে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিজয় একাত্তর চত্বরে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম।
সভায় মূল বক্তা দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা, চিনি ১৮০ টাকা, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে। অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং। দেশের রিজার্ভ তলানিতে। এ পরিস্থিতিতে ক্ষোভে দেশের মানুষ আজ ফুঁসে উঠেছেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান, বি এম নাজমুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন, এ বি এম খালিদ হাসান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন আনোয়ার সাদাত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আবার ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের গত ১০ সাধারণ নির্বাচনের ৩টি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেগুলো ছিল তুলনামূলকভাবে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ। দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত গত সাতটি নির্বাচন ছিল কলঙ্কিত ও প্রহসনের। তাঁরা বলেন, সর্বদলীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধানে সংযোজিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে বাতিল করে দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আবার ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশের গণ–আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।