খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কারণেই বন্দী আছেন: মির্জা ফখরুল

পবিত্র ঈদুল ফিতরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজনৈতিক কারণেই বন্দী আছেন বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে এই সাক্ষাতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান ছিলেন। খালেদা জিয়া এবার ঈদ কাটিয়েছেন তাঁর গুলশানের বাসভবনে।

সাক্ষাৎ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। তিনি রাজনৈতিক কারণেই বন্দী হয়ে আছেন। আমরা বলে আসছি, তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।’

খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তাঁকে ‘যতটা কম বিরক্ত করা যায়’, সেই চেষ্টা করেন বিএনপির নেতারা। তবে এবার খালেদা জিয়া নিজেই বিএনপি নেতাদের ডেকেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর সঙ্গে পুরোপুরি সৌজন্যমূলক কথা বলেছি। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি।’

খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, একই সঙ্গে তিনি (খালেদা জিয়া) দোয়া চেয়েছেন। তাঁর যেন স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন, জনগণের কল্যাণের জন্যই তিনি রাজনীতি করেছেন। রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য তিনি রাজনীতি করেছেন। এখন যে তিনি অসুস্থ অবস্থা ও বন্দী অবস্থায় আছেন, সেটা রাজনৈতিক কারণেই আছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দিয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।