মুঠোফোনে নজরদারির প্রযুক্তি নিয়ে বাম জোটের উদ্বেগ

নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে পদযাত্রা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। পদযাত্রার আগে পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন জোটের নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করতে নজরদারির উচ্চ প্রযুক্তি আমদানি, গোপন পুলিশ ও জেল-জুলুমকে হাতিয়ার করে সরকার হিটলারের ‘গেস্টাপো’ বাহিনীর মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা বলছেন, জেল-জুলুমকে হাতিয়ার করে অতীতে কোনো স্বৈরশাসক চিরস্থায়ী হতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষ গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে পদযাত্রা–পূর্ব সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমানো এবং দুর্নীতি লুটপাট ও টাকা পাচারে বাজার সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পদযাত্রা করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। পল্টন মোড় থেকে বিজয়নগর হয়ে বক্স কালভার্ট সড়ক পর্যন্ত এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক তৈমুর খানের সভাপতিত্বে ও সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন  জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজেদুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক জুলফিকার আলী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সরকারের ‘সমন্বিত নজরদারি’ প্রযুক্তি আমদানির কথা উল্লেখ করে সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন–নির্মূল করতে ফ্রান্সসহ যারা এসব প্রযুক্তি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলা হবে।

নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে অতীতের মতোই একটি প্রহসনের নির্বাচনে কিছুসংখ্যক বিরোধী রাজনৈতিক দলকে টেনে আনার সব প্রচেষ্টা ভেস্তে গেছে। তাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দিশেহারা। তারা দমন-পীড়ন-নির্যাতনের পথে মানুষের প্রতিরোধ সংগ্রামকে নির্মূল করতে চাচ্ছে। সরকার মানুষের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার হরণ করার গোয়েন্দা নজরদারি প্রযুক্তির নাম দিয়েছে ‘সমন্বিত আইনসংগত আড়ি পাতা ব্যবস্থা’।