দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে দেশবিরোধী রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। ঢাকা, ১৩ আগস্ট
ছবি: বাসস

বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় যদি বাংলাদেশকে পৌঁছাতে হয়, তাহলে দেশবিরোধী ও ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘দেশটাই যারা চায়নি, সেই জামায়াতে ইসলামী দেশের পতাকার বিরুদ্ধে চার তারার পতাকার পক্ষে যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সাথে নিয়ে রাজনীতি করা যদি বন্ধ না হয়, দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব না।’

তথ্যমন্ত্রী আজ রোববার বিকেলে ‘বঙ্গবন্ধু ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাব এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত সরকারের অধীনেই সেক্টর কমান্ডাররা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, বেতন পেতেন। জিয়াউর রহমানও ৪০০ টাকা বেতন নিতেন। ঐতিহাসিক সত্যটা হচ্ছে এই যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তাঁর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণটা পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে ছিল, ঘটনাপ্রবাহ তাই প্রমাণ করে।’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাবাদী জিয়া ও তাঁর পরিবার। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, তার প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খন্দকার মোশতাক তাঁর আস্থাভাজন বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেন। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাঁদের পুনর্বাসন করেছিলেন।

ইতিহাসের সত্যগুলো তুলে ধরতে গেলে কিছু কথা বলতে হয় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্ত মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ বিএনপিতে যোগদান করেছিল। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার উদ্দেশ্যে ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করতেন। মির্জা ফখরুল সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তাঁর বাবাও একজন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মানুষ ছিলেন, স্বাধীনতার পর কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন।’

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।