মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি রাজনৈতিক অপপ্রচারের অংশ: জাতিসংঘকে আ.লীগ

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের এশিয়া-প্যাসিফিক শাখার প্রধান ররি মুনগোবেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ। বৃহস্পতিবার, ঢাকা
ছবি: বাসস

দেশে রাজনৈতিক অপপ্রচারের হাতিয়ারের অংশ হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা সফররত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনের এশিয়া-প্যাসিফিক শাখার প্রধান ররি মুনগোবেনের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল এসব কথা বলেছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট পাবলিশ করেছে, এর ফুটনোটে যেসব সোর্স ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো ইনডিপেনডেন্ট সোর্স নয়। ডেভিড বার্গম্যান, অধিকার–অল আর পার্টিজান।’

সেলিম মাহমুদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনগুলো যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তার তথ্য কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়, সে বিষয়টি ভবিষ্যতে দেখা হবে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। তথ্য ও উপাত্তের নিরপেক্ষতার বিষয়টি দেখা হবে বলে জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
বৈঠক শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সরকার তো কেবল ক্ষমতাসীন দলের নির্দেশনায় চলে না। সরকারের একটি প্রাতিষ্ঠানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, স্বাধীনতা থাকে, জবাবদিহির বিষয়টি রয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি হওয়ায় প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

এর আগে গত বুধবার ররি মুনগোবেনের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। পরে প্রতিনিধিদলের প্রধান বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন, সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্য তাঁকে বলেছি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আমরা ব্যাখ্যা করেছি, যেটা বিভিন্ন সময়ে আপনারা রিপোর্ট করেছেন, পত্রপত্রিকায় এসেছে।’

আরও পড়ুন