বিএনপি অস্ত্র জমা করছে, ডিবির এমন দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: মির্জা ফখরুল
আগামী সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি নেতাদের নির্দেশে দলের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র জমা করছে, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এমন বক্তব্যকে বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই কথা বলে বলে তারা প্রেক্ষাপট তৈরি করে। এমন পরিস্থিতি তারা নিজেরা সৃষ্টি করে আমাদের ওপর দোষ চাপাবে।’
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ রোববার বিকেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন সন্ত্রাস হবে, এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাসের কথা বললেন। সন্ত্রাস তো করেছ তোমরা।...বন্দুক তোমাদের হাতে, পিস্তল তোমাদের হাতে। আইন তোমাদের হাতে। রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছ। সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।’
এর আগে আজ সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ছাত্রদলের ৬ নেতাসহ বিএনপির মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায় তাঁদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ছাত্রদল নেতাদের কাছ থেকে যে অস্ত্র উদ্ধারের কথা পুলিশ বলছে, সেই অস্ত্রের ছবি দেখিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা কোনো প্রাগৈতিহাসিক যুগের অস্ত্র। এগুলো তাদের (ডিবি) কাছে রেখেছে, দেখেই বুঝতে পেরেছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনাগুলো এটাই ইঙ্গিত দেয়, তারা (সরকার) যেভাবেই হোক সব শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে আবার ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনের পর নিপীড়ন বেড়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় না। আমার মনে হয় না ওই রিপোর্টে এখন পর্যন্ত সঠিক কিছু দেখেছি। এখন পর্যন্ত দেখিনি আমরা।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ঢাকায় দেশব্যাপী ঘোষিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শত শত পুলিশ ও সাদাপোশাকধারী পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে। দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করেছে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পদযাত্রার কর্মসূচি চলাকালে গতকাল হবিগঞ্জে, নারায়ণগঞ্জে, নেত্রকোনায় পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে, গুলি চালিয়েছে।