গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবি পার্টির বিক্ষোভ মিছিল
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবি পার্টি। আজ শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে এই কর্মসূচি পালন করে দলটি। এ সময় গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এবি পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এবি পার্টির এই আয়োজনে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন যোগ দেয়।
প্রতিবাদে কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সামাজিক সংগঠন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘গাজায় হতাহত প্রতিটি শিশুর মুখে বাংলাদেশের শিশুদের মুখ দেখতে পাই। গাজার ভূমি দখল করা হচ্ছে, কারণ সেখানে প্রাচুর্য আছে। যে ভূমিতে প্রাচুর্য থাকে, সেখানেই হিংস্রদের হাত পড়ে।’
গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার মুখে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বললেও বাস্তবে দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। কারণ তারা বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমন করতে ইসরায়েল থেকে গোয়েন্দা সরঞ্জাম কিনেছে।
পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে বিএলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন বলেন, অন্যায়কে সমর্থন করে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। মানবতার কথা বলে গণহত্যার পক্ষ নিলে নেতৃত্বের আসনে থাকা যাবে না।
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, পৃথিবী এখন স্পষ্টতই দুই ভাগে বিভক্ত। একটি শোষক; দখলদার আর জালিমের পক্ষ। অন্যটি শোষিত; নিপীড়িত, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষ।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক বি এম নাজমূল হকের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মেজর (অব.) আবদুল ওহাব, মানবাধিকারকর্মী রুবী আমাতুল্লাহ, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাহবুব হোসেন প্রমুখ।