সংলাপের আশার প্রদীপ এখনো নেভেনি, তবে এখন সংলাপ নয়: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ফাইল ছবি

বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের আপাতত সংলাপের কোনো ভাবনা নেই। তবে সংলাপের আশার প্রদীপ এখনো নেভেনি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে গণভবনের গেটে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভায় ঢাকা–১৭ আসনের উপনির্বাচনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাতকে (মোহাম্মদ এ আরাফাত) দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানানোর জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আশার প্রদীপ কোনো দিনও নেভে না। কিন্তু আজকে আপনি আমাদের বলতেছেন সরকারি দলকে সংলাপের কথা। আমরা আপাতত এই নিয়ে ভাবছি না। গতকাল বলেছি, সংলাপ নিয়ে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো ভাবনা নেই। আমাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই এবং সিদ্ধান্ত নেই। ভবিষ্যতের কথা ভবিষ্যতে বলতে পারব। এই মুহূর্তে নেই।’

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বারবার একই কথা বলে। বিগত নির্বাচনে তারা পানি ঘোলা করে নির্বাচনে আসেনি। এবার কি হবে জানি না। নির্বাচন ছাড়া তাদের আগুন–সন্ত্রাস তৎপরতা, নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে তারা আওয়ামী লীগের জন্য নিষেধাজ্ঞা আনতে গিয়ে এখন নিজেরাই ভিসা নীতির ফাঁদে পড়েছে। ভিসা নীতে এসব আগুন–সন্ত্রাস, নির্বাচনে বাধা দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ওই নিয়ম নীতির আওতায় পড়ে। এটা শোনার পরে তাদের মুখ শুকিয়ে গেছে। মুখে যদিও বলছে না।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি তাদের মধ্যে নেগেটিভ মনোভাব পোষণ করছে। যে নেতিবাচক বিষয়টা তারা নিয়ে আসছে—তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এই তিনটি না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। আমরা বলছি, এই তিনটি বিষয় কোন কারণে? সরকার কেন পদত্যাগ করবে? কোন কারণে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন? কোন কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘তারা বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়েছে। উচ্চ আদালত দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ না। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা ডেড ইস্যু। এটাকে নতুন করে জীবিত করব কেন? এটা তো আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে কেন হবে না? আমাদের সংবিধান আছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর প্রধানমন্ত্রী কি কারণে পদত্যাগ করবেন? সংসদের সদস্যরা কি তাকে চান না? পার্লামেন্টে যদি তিনি মেজরিটি হারান, তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ নেই।’