‘ম্যাডাম ছেলে ও আরও দু–একজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন’

মুজিবুল হক চুন্নু

ছেলে সাদ এরশাদসহ আরও দু-একজনের কাছে রওশন এরশাদ জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ পার্টির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় কিছু করছেন বলে বিশ্বাস করি না। তবে ম্যাডাম তাঁর ছেলে ও আরও দু–একজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাপার চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক এ কথা বলেন।

গতকাল বুধবার রওশন এরশাদ ‘জাপার অব্যাহতি, বহিষ্কার ও কমিটি থেকে বাদ দেওয়া সব নেতা-কর্মীকে দলে অন্তর্ভুক্তির আদেশ’ শীর্ষক একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠান।

এর উল্লেখ করে জাপার মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল বেগম রওশন এরশাদের যে চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, সেই চিঠি আমরা আমলেই নিচ্ছি না।’

মসিউর গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার সুবিধাভোগী

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপার মহাসচিব মো. মুজিবুল হক দাবি করেন, সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার একজন সুবিধাভোগী। এখন গঠনতন্ত্র ও ২০ ধারা নিয়ে তাঁর কথা বলাটা স্ববিরোধিতা। তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গঠনতন্ত্রের ২০ ধারা ব্যবহার করে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মসিউর রহমানকে মহাসচিব করেছিলেন। তখন তো তিনি এই ধারার বিরোধিতা করেননি। তিনি গঠনতন্ত্রের ওই ধারার সুবিধাভোগী।

মুজিবুল হক বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় পার্টির সম্মেলনের আগে মসিউর রহমান মহাসচিব ছিলেন। সম্মেলনে গঠনতন্ত্র অনুমোদনপ্রক্রিয়ায় তিনি যুক্ত ছিলেন। সম্মেলন–পরবর্তী প্রায় দুই বছর এই গঠনতন্ত্র মেনেই মসিউর রহমান মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কখনোই গঠনতন্ত্রের কোনো ধারার বিরোধিতা বা আপত্তি করেননি।

জাপার মহাসচিব বলেন, জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। দলে কোনো বিভেদ নেই, কোনো ষড়যন্ত্রই দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারবে না।