পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুই দলের প্রতিক্রিয়া
গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে এমন নৃশংসতার রাজনীতি চলতে পারে না
রাজধানীর পুরান ঢাকায় সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও গণসংহতি আন্দোলন। শুক্রবার দল দুটি বলেছে, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই নৃশংসতার রাজনীতি আর চলতে পারে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে বলেন, গত বুধবার বিকেলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী মো. সোহাগকে যেভাবে পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত নির্মম ও ভয়ংকর।
এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে মন্তব্য করে এ দুই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই নৃশংসতার রাজনীতি আর চলতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে চিরতরে এই আতঙ্ক তৈরির রাজনীতি বন্ধ করার জন্য এই নৃশংস ঘটনার অবিলম্বে বিচার প্রয়োজন।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, সোহাগ হত্যার ভিডিও কতটা ভয়াবহ, নির্মম ও নিষ্ঠুর, তা ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়। যুবদলের সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতিকে কী বার্তা দিতে চায়, তা খোদ বিএনপিকেই পরিষ্কার করতে হবে।
এই নেতাকে উদ্ধৃত করে ইসলামী আন্দোলনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে, ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পৈশাচিক কায়দায় হত্যার মধ্য দিয়ে তা স্পষ্ট হয়েছে।
ইমতিয়াজ আলম বলেন, পুরান ঢাকার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও আওয়ামী ফ্যাসিবাদ কর্তৃক সংঘটিত নির্মম হত্যাযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। বিএনপি যদি তাদের সন্ত্রাসীদের থামাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এর পরিণাম শুভ হবে না।