ভোটের জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক আলী রীয়াজ

অধ্যাপক আলী রীয়াজফাইল ছবি: প্রথম আলো

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট–সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

ইতিমধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জাতীয় নির্বাচন বিশেষ করে গণভোট নিয়ে ব্যাপক প্রচার–প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের তরফ থেকে এই প্রচার কাজের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

গত ১৩ নভেম্বর অধ্যাপক আলী রীয়াজকে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকার প্রথমে ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজকে। সেই কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ছিলেন এই কমিশনের সভাপতি। আর সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রায় আট মাস আলোচনা করে গত অক্টোবরে জুলাই জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ কমিশন গত ২৮ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয়। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে সরকার। জুলাই জাতীয় সনদ তথা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে জনগণের সম্মতি নিতে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে গণভোট। একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।