ভোটের পরও কর্মসূচি রাখতে চায় বিএনপি

বিএনপি

সরকারের পদত্যাগ, ‘ডামি’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেছে বিএনপি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই দফার তিন দিনের কর্মসূচি শেষে আবারও একই ধরনের কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এরপর আগামী রোববার থেকে হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হবে। এমন কর্মসূচি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত চলবে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, শুধু নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নয়, একতরফাভাবে নির্বাচন হয়ে গেলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চায় বিএনপি।

আমাদের প্রশ্ন, কেন পুলিশ কমিশনারকে কাউন্সিলরদের ডেকে বলতে হয় যে আপনারা ভোটারদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য ডামি প্রার্থী লাগবে কেন? কেন জনগণকে হুমকি দেওয়া হয় যে ভোটে না এলে তাদের কার্ড (সরকারি অর্থের সুবিধা) বাতিল করা হবে, কেন করতে হয়?
নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির নেতা

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল থেকে দিলকুশা পর্যন্ত সড়কে ভোট বর্জনের আহ্বানে প্রচারপত্র বিতরণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। একই দাবিতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও ছাত্রদলও পৃথক প্রচারপত্র বিলি করে। ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীও প্রচারপত্র বিলি করেছে। এ ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, এলডিপি, আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), গণ অধিকার পরিষদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটও রাজধানীতে মিছিল ও প্রচারপত্র বিতরণ করেছে। তবে গণতন্ত্র মঞ্চ ও জেএসডির কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে। জেএসডির মিছিলে বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুন

রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় গণসংযোগ শেষে বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘এই নির্বাচনে আপনারা যাবেন না। যে সরকার দেশের স্বার্থ, জনগণের জীবন-জীবিকা নিয়ে খেলা করছে, এই সরকারকে অসহযোগিতা করুন। এই ডামি নির্বাচন…ইতিহাসে প্রথম শুনলাম যে একটা রাজনৈতিক দল নিজের প্রার্থীর বাইরে আরও ডামি প্রার্থী দেয়। কী জন্য? যাতে বেশি লোক আসে। তাহলে বোঝেন, জনগণ এই নির্বাচন সমর্থন করে না। এই নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে না।’

আরও পড়ুন

এই নির্বাচনে সত্যিই জনসমর্থন থাকলে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কাউন্সিলরদের ডেকে পুলিশের কেন বৈঠক করতে হচ্ছে, সে প্রশ্ন তোলেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন, কেন পুলিশ কমিশনারকে কাউন্সিলরদের ডেকে বলতে হয় যে আপনারা ভোটারদের নিয়ে ভোটকেন্দ্রে আসবেন, জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য ডামি প্রার্থী লাগবে কেন? কেন জনগণকে হুমকি দেওয়া হয় যে ভোটে না এলে তাদের কার্ড (সরকারি অর্থের সুবিধা) বাতিল করা হবে, কেন করতে হয়?’