রিট খারিজ, শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল

শাহজাহান ওমরফাইল ছবি

ঝালকাঠি–১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। এর ফলে তাঁর প্রার্থিতার বৈধতা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন ইসির আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান।

চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শাহজাহান ওমরের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। কিন্তু তাঁর মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান। এতে শাহজাহান ওমরের বিরুদ্ধে হলফনামায় মামলাসংক্রান্ত তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রেখে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ওই আপিল নামঞ্জুর করে রায় দেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাসরিন খানম নামের ওখানকার এক ভোটার ওই রিট করেন। রিটে শাহজাহান ওমরের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। ইসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুল ইসলাম সিদ্দিকী ও ইসির আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রিট আবেদনকারী কোনো প্রার্থী নন। তাই ইসির ওই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রিট আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ নেই—এমন দিক বিবেচনায় আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন শাহজাহান ওমর। তিনি একসময় আইন প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। গত ৪ নভেম্বর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার নিউমার্কেট থানার বাসে আগুন দেওয়ার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই মামলায় তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাঁকে। প্রায় চার সপ্তাহ কারাবন্দী থাকার পর জামিন পান শাহজাহান ওমর। কারামুক্ত হয়েই বিএনপি ছাড়েন। আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে শোরগোল ফেলে দেন। এরপর ঝালকাঠি–১ আসনে তাঁকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।